জামালগঞ্জে রহস্যজনকভাবে দুম্বার মাংস উধাও
মো. শাহীন আলম, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রতি বছরের ন্যায় সৌদি আরব হতে অসহায় গরীবদের জন্য আসা দুম্বা উধাও হওয়া খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে জামালগঞ্জে বরাদ্দকৃত দুম্বা উধাও হওয়ার খবর পাওয়া যায়। জানাযায়, জামালগঞ্জ উপজেলায় বরাদ্দকৃত দুম্বা। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় হতে বরাদ্দকৃত দুম্বা জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তার অফিসে গত শনিবারে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের শুয়া দুম্বা উধাও। সাধারণ মানুষ দুম্বার মাংস আসছে বলে শুনেনি স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান । গোপন সূত্রে জানাযায় উপজেলা অফির্সাস ক্লাবে ভোজনের আয়োজন করে দুম্বার মাংস ভাগাভাগি করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে উপজেলার সাধারণ মানুষের হৈচৈ শোনতে পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী জয়নাল, কাশেম, আবু সাইদ, রফিক, রাবেয়া, তাহমিনা জানান, আমরা শুনেছি দুম্বার মাংস আইছে, কিন্তু কোন দিন খাওয়ার তো দুরের কথা চোখে দেখিনি। স্থানীয় আবু রায়হান বলেন, ছোট বেলায় এই দুম্বার গোস্ত খেয়েছিলাম, এখনও কি দুম্বা আসে জামালগঞ্জে, আমার এই অবুঝ মন ত্রিশ বছরের দুম্বার হিসাব চাই।
হিউম্যান রাইটস ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ জামালগঞ্জ শাখার সভাপতি নুরুল হক বলেন, দুম্বার ব্যাপারে, জামালগঞ্জের জনতার পক্ষ থেকে যে অসম বন্টন বা অস্পষ্টতার অভিযোগের গুঞ্জন উঠেছে, তা প্রশাসন কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাধ্যমে পরিষ্কার করা উচিত বলে মনে করি।
এদিকে জামালগঞ্জে দুম্বা মাংস গেল কই নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: এরশাদ হোসেন বলেন, মোট ২৪টি কাটন আসছে, এর মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে ২১টি এতিম খানা মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, সাচনা বাজার মাদ্রাসার মাওলানা আজিজুল হকের সহযোগিতায় বিতরণ করি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা'র (পিআইও) কাছে দুম্বার মাংস বিতরণকৃত প্রতিষ্টানের তালিকা চাইলে তিনি দিতে পারেন নাই।
এব্যাপারে সাচনা বাজার মাদ্রাসার মাওলানা আজিজুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে কোন তালিকা নাই, আমি মাংস নিয়েছি।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুশফিকীন নুর বলেন, দুম্বার মাংস প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিতরণের দায়িত্ব ছিলেন, তিনি যথাযত ভাবে বিতরণ করেছে বলে আমাকে জানান, তারপরও যদি কোন কথা থাকে আমাকে জানালে ব্যবস্থা নেব।