https://www.bartomansylhet.com/

5587

surplus

প্রকাশিত

০২ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১৬

নৌকাগুলি আজ আর দেখা যায় না-মিজানুর রহমান মিজান

নৌকাগুলি আজ আর দেখা যায় না
লেখক: মিজানুর রহমান মিজান

বেশি দিন আগের কথা নয়। মনে হয় এইতো সে দিনের কথা।আমার দেশ ছিল নদী মাতৃক।আজ পরিবর্তনশীল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ নামটি পরিবর্তন করে যেন হয়ে গেছে সড়কের দেশে রুপান্তরিত।অবস্তা দৃষ্টে তাই মনে হয়।কি বলেন আপনারা?নদীর দিকে তাকালে প্রতিনিয়ত দেখা মিলতো অগণিত, অসংখ্য হরেক রকম আকারের,প্রকারের নৌকার সারি সারি চলা যে কোন নদী দিয়ে।আজ তা হয়েছে স্বপ্নালোকের মতো।নদী আজ ধুঁ ধুঁ বালুচরে রুপ লাভ করেছে।অতীত বিস্মৃতির পথে চলে গেছে নদীর বুক চিরে নানান রকমের নৌকার চলাচল।কত সুন্দর ও আনন্দ লাগতো এসব নৌকাগুলির চলাচলের দৃশ্যে।মালামাল পরিবহন কাজে থাকতো নিয়োজিত।পাড়ে দাড়িয়ে দেখতাম,উপভোগ করতাম হরেক রঙের পালযুক্ত নৌকা বা পালবিহীন নৌকার সারি।মাঝিরা মনের আনন্দে ধরতো সুরালো কণ্ঠে গানের কলি।কি মধুর সে সুরের ধ্বনি ছিল?হায়রে আজ সবই বিস্মৃত অতীত শুধুই।গুনারী গুন ঠেনে নৌকা উজান বেয়ে যায় না।ভাটির পানে বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ কি ব্যঞ্জনাময়।তা আজ আর দেখি না,শুনি না।শুধুই আক্ষেপ বাড়ে।মনে জ্বালা ধরে।কিন্তু করার কিছুই নেই।হারিয়ে গেছে দুর অতীতের পথে,সুদুরের প্রান্তে।দাড় টেনে মাঝি সুখের গান গায় না।পালতোলা নৌকার দেখা মিলে না।ভরা বর্ষায় হাওড়ে নৌকা চলতো পাল তোলে।পালে হাওয়া লাগলে নৌকা চলতো অনেক দুরের রাস্তা অল্প সময়ে।নৌকাতেই বাসাবাড়ি ছিল মাঝিমাল্লাদের।