বাংলাদেশ–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটুকু
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
নাসাউয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। ৫০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল ম্যাচ। আজ সেখানে বাংলাদেশ–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটুকু? এমন প্রশ্ন জাগতেই পারে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘আকুওয়েদার’ জানিয়েছে, বাংলাদেশ–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের সময় নিউইয়র্কে আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল এবং তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। বজ্র–বৃষ্টির সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ বলে জানিয়েছে আকুওয়েদার। নিউইয়র্কের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টির সম্ভাবনা ৪ শতাংশ। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে ম্যাচ। বাতাসে প্রায় ৫০ শতাংশ আদ্রর্তা থাকবে এবং ধারণা করা হচ্ছে মাঠে প্রতি ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইবে।
নাসাউয়ে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দুটি ম্যাচই খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাভাবিকভাবেই এই মাঠের পিচ ও কন্ডিশন সমন্ধে জানাশোনায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে প্রোটিয়ারা। ভারতের বিপক্ষে এ মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, সেটি অবশ্য প্রায় এক সপ্তাহ আগে। নাসাউয়ের উইকেটে সাধারণ পেসাররা দাপট দেখিয়ে থাকেন। বড় লক্ষ্যের সংগ্রহে ব্যাটিং করাটা বিপজ্জনক হতে পারে। পিচ ও কন্ডিশন বুঝে ব্যাটিং করলে সর্বোচ্চ রানটা বের করে আনা সম্ভব।
নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচে (সব কটিই টি–টোয়েন্টি) মোট ৬৫ উইকেটের পতন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ উইকেট নিয়েছেন পেসাররা। বাকি ১০টি উইকেট স্পিনারদের।
নতুন বলে নাসাউয়ের উইকেট থেকে বল ওঠে। তবে সেটি অসমান বাউন্স। স্পঞ্জি বাউন্স যেমন হয় আরকি। সিম মুভমেন্টও পায় বল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বল একটু দেরিতে খেলা নিরাপদ। তবে স্পিনাররাও মাঝের ওভারগুলোয় বাঁক পেয়ে থাকেন। আর মাঠের আউটফিল্ডে বালু থাকায় বল মারার পর প্রত্যাশিত গতিতে বাউন্ডারি পার হবে না। আউটফিল্ড বেশ মন্থর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভালো করেছেন বাংলাদেশের দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। একাদশ অপরিবর্তিত রাখলে এই দুই পেসারের সঙ্গে তানজিম হাসানকেও দেখা যেতে পারে আজ। শরীফুল ইসলাম চোট কাটিয়ে কতটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন, সেটি এখনো অনিশ্চিত। দক্ষিণ আফ্রিকা দলেও আছেন আনরিখ নর্কিয়া, কাগিসো রাবাদা, ওর্টনিল বার্টমানের মতো পেসার। সব মিলিয়ে পেস আক্রমণের ওপর আজ ম্যাচের অনেক কিছুই নির্ভর করছে।